মোবাইল দিয়ে কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়?


মোবাইল দিয়ে কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়? আপনি কি অনলাইন পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম টাকা ইনকাম করতে চান ? যদি হে, তাহলে আপনার ওই Android mobile আপনাকে মাসে মিনিমাম ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার আয় করে দিতে পারবে। হে, এটা একদম সত্তি। আজ টেকনোলজি এতো ফাস্ট এবং অ্যাডভান্সড হতে চলেছে যে, এন্ড্রোইড মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা এখন একটা ট্রেডিশন বা ফ্যাশন হয়ে উঠেছে।

মোবাইলে অনলাইন ইনকাম করার এমনেতে অনেক উপায় আছে। কিন্তু আমি এই পোস্টে আপনাকে কেবল ওই ৪ তা সহজ উপায় বলবো যেগুলি আপনাকে সত্যি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সুযোগ দেবে। আর্টিকেল শুরু করার আগে আমি আপনাকে একটা কথা ভালো করে বলেদিতে চাই। Android মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার যেগুলি অনলাইন উপায় আমি বলবো সেগুলি আজ অনেকেই ব্যবহার করে অনলাইন আনলিমিটেড ইনকাম করছেন। আর সেটা আপনিও করতে পারবেন।

কিন্তু, একটা কথা অবশই মনে রাখুন যে, কোনো কষ্ট আর কাম না করে জীবনে কিছুই পাওয়া যায়না। আর, তার জন্যই আপনাকেও অনলাইন মোবাইল থেকে টাকা কমানোর জন্য অল্প পরিশ্রম করতেই হবে।আমি, নিচে মোবাইল দিয়ে ইনকামের যা ৪ তা উপায় বলবো সেগুলি সব trusted এবং অনেকেই ব্যবহার করে income করছেন।

তাই, আমি তো আপনাদের নিচে উপায় গুলো দিয়ে দিব, কিন্তু উপায়গুলি ব্যবহার করে আপনি কতটা টাকা আয় করবেন সেটা আপনার কাজ আর পরিশ্রমের ওপরে।

বাকি, এতটুকু জেনে রাখুন, নিচে দেবা মোবাইল থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলি দিয়ে লোকেরা হাজার কেন লক্ষ লক্ষ টাকা প্রত্যেক মাসে আয় করছেন।

চলেন, আর সময় নষ্ট না করে আমরা মোবাইল থেকে আয় করার ৪ তা সহজ পদ্ধতি জেনে নেই। এন্ড্রোইড মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার ৫ টি সহজ উপায় (Online Earning) যা আমি ওপরে আপনাদের বললাম, যদি আপনার কাছে একটি এন্ড্রোইড স্মার্টফোনে আছে তাহলে অবশই আপনি অনলাইন পার্ট-টাইম এবং ফুল-টাইম টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর, তারজন্য জরুরি ৫ তা উপায় আমি আপনাদের নিচে অতি সহজে বুঝিয়ে দিয়েছি।

১. ব্লগ্গিং এবং ওয়েবসাইটের দ্বারা ইনকাম

আপনি কি জানেন, মোবাইল থেকে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনি অনলাইন আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন ? যদি না, তাহলে ভালোকরে জেনে রাখুন। আপনি অবশই Google এর blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফ্রি ব্লগ এবং ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। আর তারপর, যখন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আসা আরম্ভ হবে তখন আপ্নে নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।আপনার হয়তো এই ভাব হচ্ছে যে, মোবাইল থেকে ব্লগ বানিয়ে income করা অনেক কঠিন বা ঝামেলার কথা।
কিন্তু, তা একদম নই।

মোবাইল থেকে আপনার ব্লগ বানাতে মাত্র ১০ মিনিট লাগবে। আর, তার পর আপনি নিজের ব্লগে ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে ব্লগে ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আনতে পারবেন। ব্লগে ভিসিটর্স আশা আরম্ভ হলে, আপনি Google Adsense এ নিজের ব্লগটি register করে টাকা আয় করা স্টার্ট করতে পারেন।

Google adsense গুগলের একটা service যে আমাদের নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে text , link , video এবং image advertisements দেখিয়ে তার বিনিময়ে online income এর সুযোগ দেয়।

আজ, “ব্লগ এবং গুগল এডসেন্স” এই দুটো সার্ভিস ব্যবহার করে লোকেরা online এতো টাকা আয় করছেন যে আপনি ভাবতেও পারবেন না। আর, আপনিও যদি ব্লগ এবং এডসেন্স এর দ্বারা income চান তাহলে কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দরকার আপনার নেই।

আপনি নিজের স্মার্টফোনেই একটি ব্লগ বানিয়ে তাতে আর্টিকেল লিখে Google adsense এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

২. YouTube channel বানিয়ে অনলাইন ইনকাম

ব্লোগ্গিং এর মতো মোবাইল থেকে YouTube channel বানিয়ে অনলাইন টাকা ইনকামের আইডিয়া টা বেশ অনেকেই ভালো। আজ, অনেক লোকেরা ইউটিউব যে নাকি Google এর একটা সার্ভিস, চ্যানেল বানিয়ে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।

ইউটিউব চ্যানেল বানানোর জন্য আপনার YouTube এর Website এ যেতেহবে। YouTube.com এ গিয়ে আপনার Gmail একাউন্টের প্রয়োজন হবে। কারণ, আমি আগেই বলেছি, “YouTube Google এর product ” আর তাই ইউটিউব লগইন করতে gmail account ID আর password এর প্রয়োজন হবে। নিজের Gmail account দিয়ে ইউটিউব লগইন করারপর আপ্নে ইউটিউবে directly বা একটি ফ্রি channel বানিয়ে তাতে video আপলোড করুন।

কারণ, ইইউটিউবে চ্যানেলে ভিডিও upload করেই আপনি টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন। এইটা মনে রাখবেন, আপনি যা video নিজের YouTube চ্যানেলে upload করবেন সেটা যাতে নিজের বানানো অরিজিনাল ভিডিও হয়।
আপনি যদি অন্য কারো ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করেন তাহলে সেটা copyright ভিডিও হিসাবে ধরা হবে।
আর তাই সেই অন্যর কপি করা ভিডিও থেকে আপনি ইনকাম করার কোনো option পাবেন না। তাই, যা ভিডিও আপনি নিজের চ্যানেলে আপলোড করবেন সেটা যাতে পুরোপুরি অরিজিনাল আর আপনার নিজের বানানো হয়।
ইউটিউবে কেমন ভিডিও আপলোড করতে পারবেন ? এই প্রশ্নটা আপনার মনে নিশ্চই আসছে, তাই না ?

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপনি যেকোনো রকমের ভিডিওস আপলোড করতে পারেন। যেমন, Tutorial videos, comedy videos, kono story, মোবাইল রিভিউ বা যেকোনো জিনিসের ওপরে।
অনেক তাড়াতাড়ি success পাবার জন্য আপনি নিজের মোবাইল থেকেই টিউটোরিয়াল ভিডিওস বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করুন। কিন্তু মনে এইটা রাখবেন, “যা বানাবেন আপনি নিজে বানাবেন” আর ভিডিওর কোনো অংশতে যাতে অন্য কোনো ভিডিওর কোনো রকম কপি করা পার্ট বা অংশ না থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কিভাবে ফ্রিলান্সিং করবেন?

ব্যাস, এরকম করে original নিজে বানানো video ইউটিউবে আপলোড করতে থাকলে অনেক তাড়াতাড়ি টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।

এখন আপনি ইউটিউব চ্যানেল বানালেন এবং ভিডিও আপলোড ও করলেন। কিন্তু, টাকাটা কিভাবে কমাবেন ? আপলোড করা ভিডিও থেকে টাকা কিভাবে পাওয়া যাবে ? সেটাই তো আপনি এখন ভাবছেন? তাই না। .?
ইউটিউব থেকে টাকা কিভাবে আয় করবে ?

আসলে, যখন আপনি ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন, তারপর আপনার ভিডিও ইউটিউবের ওয়েবসাইটে আশা হাজার হাজার লোকেরা অনলাইন ভিউ করে বা দেখে। আর তখন আপনার ভিডিও থেকে টাকা কমানোর সুযোগটা এসে পড়ে।

ইউটিউব “monetization” বলে একটা অপসন রয়েছে। এই monetization অপশন টাকে যখন আপ্নে apply করে enable করবেন (চালু করবেন) তখন Google adsense এর তরফ থেকে কিছু advertisements আপনার ভিডিও গুলিতে দেখানো হবে। আর, লোকেরা আপনার ভিডিও দেখার আগে যখন ওই advertisement গুলি দেখবেন, তখন আপনি টাকা ইনকাম করবেন। এটাই ইউটিউব থেকে অনলাইন ইনকামের উপায়।

বিশ্বাস করেন, আপনি যখন ৫০ তা ভিডিও আপলোড করে ফেলবেন আর আপনার প্রত্যেক ভিডিওতে ডেইলি ৩০ করে ভিউ হবে তখন ৫০*৩০= ১৫০০ টোটাল ভিডিও ভিউ আপনি পাবেন ডেইলি। আর, ডেইলি যদি আপনার ভিডিও গুলি ১৫০০ বার লোকেরা দেখেন তাহলে কমেও ০.২ ডলার করে প্রতি adview তে পেলেও ০.২১৫০০= ৩০০ ডলার।

আপনি ঠিক ভাবছেন এইটা অনেকটাই ইনকাম।যদি এক ডলার = ৬০ টাকা হয় তাহলে ৩০০ ডলার *৬০= ১৮,০০০ টাকা। আজ অনেকেই ইউটিউব থেকে এরথেকে অনেক বেশি টাকা প্রতিদিন কামাই করছেন। আর এগুলো সব আপনি কেবল নিজের মোবাইল থেকেই করতে পারবেন যদি আপনার কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই।
কিন্তু, এইটা মনে রাখবেন, একদিনে কিছুই হয়না। আপনার অনেক পরিশ্রম করতে হবে, মনদিয়ে এবং interest রেখে কাজ করতে হবে। আর তখন গিয়ে আপনি ইউটিউব business এ success হবেন।

৩. Android apps থেকে পয়সা কামান

হে আপনি ঠিক শুনেছেন, এখন আপনি বিভিন্ন এন্ড্রোইড এপ্স থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু, নিজের মোবাইল থেকে টাকা আয় করার এই মাদ্ধমে আপনার খুবেক্টা বেশি ইনকাম হবেনা। যদি আপ্নে একটা student, housewife বা retired person তাহলে extra কিছু ইনকাম করার জন্য এই উপায় ব্যবহার করতে পারেন।

Google play store এ গিয়ে আপনি “আর্নিং apps, অনলাইন ইনকাম app বা ফ্রি recharge app” বলে সার্চ করলেই আপনি অনেক এমন apps পেয়ে যাবেন যে নাকে আপনাকে বিভিন্ন কাজের জন্য real টাকা দেবে। এমন পয়সা কমানোর কিছু best apps হলো “Truebalance” , “MCent“, “Amulyam“, “Pocket Money“, “TaskBucks” আরো অনেক।

এই apps গুলো আপনি google play store থেকে ফ্রীতে download করে মোবাইল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এই টাকা কমানোর apps গুলো আপনাকে এমনেই পয়সা দেয়না। App ডাউনলোড করারপর আপনার অনেক রকমের কাজ করতে হবে।
যেমন – apps downloading, app রেফার করা, video দেখা আদি। আর, এই কাজগুলির বিনিময়ে আপনাকে কিছু টাকা app এর তরফ থেকে দেয়া হয়। ইনকাম করা টাকা আপনি অনেক রকম পেতে পারেন। যেমন – paytm cash, বিকাশ হিসেবে, ফ্রি মোবাইল রিচার্জ, ফ্রি ডিশ টিভি রিচার্জ, bank account transfer অবদি।

৪. Short link website থেকে অনলাইন ইনকাম

আপনি কি short link ওয়েবসাইটের কথা জানেন? যদি না, তাহলে জেনে রাখুন, নিজের মোবাইল থেকে অনলাইন ইনকাম করার এইটা অনেক সোজা এবং ১০০% সত্যির উপায়। আপনার বেশি কিছু করার দরকার নেই।
আপনার প্রথমে কিছু short link ওয়েবসাইটে গিয়ে account রেজিস্টার করতে হবে।

কিছু trusted এবং ভালো short link ওয়েবসাইটের নাম হলো – Shorte . st, adf. ly, AL. LY, Blv . me, Linkshrink . Net আদি।

আপনি এগুলোর যেকোনো একটা বা প্রত্তেক টাতেই account বানাতে পারেন। এখন আপনাকে বলি, এই short link ওয়েবসাইট গুলির মাদ্ধমে আপনি টাকা কিভাবে আয় করবেন। আসলে, এই ওয়েবসাইট গুলোকে link shortener website বলা হয়। এখানে, আপনাকে একটা box দেয়া হয় যেখানে আপনি যেকোনো ওয়েবসাইটের URL address link তা past করে তাকে ছোট (short) করতে পারেন। (মোবাইল দিয়ে কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়?)

Download Free Adobe Software click here. Follow Our page Click here

আপনি ইন্টারনেট থেকে যেকোনো আর্টিকেল, ভিডিও, গান বা যেকোনো ওয়েবসাইটের URL address কপি করে তাকে এই URL shortener ওয়েবসাইট গুলির মাদ্ধমে ছোট করে দিতে পারেন।
যেমন- আপনি যদি আমার ব্লগের কোনো একটি আর্টিকেলের URL link ছোট করেন, তাহলে সেটা এমন দেখতে হবে যে দেখে কেউ বুঝবেইনা সেটা কার website. কিন্তু কথা হলো, এই URL shortener ওয়েবসাইট থেকে টাকা কিভাবে ইনকাম করা যাবে।.? তাই তো আপনি ভাবছেন।.? আসলে, যখন আপনি কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগের বা ভিডিওর URL Address এই URL shortener ওয়েবসাইটে গিয়ে ছোট করবেন, তখন লিংক এড্রেস তা ছোট হবার সাথে সাথে ওখানে কিছু advertisement ও লাগিয়ে দেবা হয়।

আর এর ফলে, যখন কেউ আপনার short করা (ছোট করা) URL address এ ক্লিক করবেন তখন original ওয়েবসাইটে যাবার আগে কিছু advertisement দেখানো হবে। এখন, এর ফলে আপনাকে প্রতি valid adview এর ওপর টাকা দেবা হবে। কোনো কোনো Link shortener ওয়েবসাইট আপনাকে ১০০০ ভিউ তে ৫ থেকে ১৫ ডলার দেবে বা কেউ কেউ ৫ থেকে ১০ ডলার। কিন্তু ইনকাম আপনার ভালোই হবে।

আপনি সবটুকু নিজের মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। আপনার খালি, ইন্টারেস্টিং আর ভালো ভালো ভিডিও, আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট url address গুলো এই link shortener ওয়েবসাইট গিয়ে ছোট কোরতে হবে আর যতোটা সম্ভব facebook group , wahatsapp group বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করতে হবে। তারপর, যতোটা ভিসিটর্স আপনার লিংকে ক্লিক করে আপনার দেবা URL address এ যাবে তারা advertisement দেখবে আর আপনি টাকা আয় করবেন।

Final words on the topic

তো বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের ৫টি সহজ এবং ১০০% রিয়েল উপায় বল্লাম যার দ্বারা আপনি মোবাইল দিয়ে কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়? এর মধ্যে এমন কিছু উপায় বলেছি যেগুলো আমি নিজে এতটা করে দেখি নাই কিন্তু অনেকের মুখেই শুনেছি যে তারা এগুলির মাদ্ধমে টাকা কামিয়েছে।
আর এমন কিছু উপায়ও বলেছি যেমন , ব্লগ্গিং এবং youtube channel যার মাদ্ধমে আপনি এতটা income করতে পারবেন যে আপনার আর অন্য কোনো job বা business করার প্রয়োজন হবেনা। ধন্যবাদ

Post a Comment

0 Comments